Quintel Blogger theme

A free Premium Blogger theme.

সোমবার, ১৮ আগস্ট, ২০১৪

লজিং টিচারের সাথে গে সেক্স

আমি ভাই বোনদের মাঝে সবার ছোট,আমার বয়স তখন ৫ থেকে সাড়ে ৫বছর হবে।আমার বড় যে ভাই ওর সাথে আমার বয়সের পার্থক্য প্রায় ৭/৮ বছরের।তাই ছোটবেলায় আমাকে বেশিরভাগ সময় একাএকাই থাকতে হইত কারণ
তাছাড়া আপা আর ভাইয়ারা স্কুল চলে গেলে এমনিতেই আমাকে বাসায় একা থাকতে হতো।সবার ছোট আর আদরের ছিলাম বলে বাইরের কারো সাথে খেলতেও দিতোনা আম্মা।
দিনের বেলায় বেশির ভাগ সময় আমাকে ঘরেই কাটতো আর তখন এখনকার মতো ঘরে ঘরে স্যাটেলাইটও ছিলনা যে সারাদিন বসে বসে কার্টুন দেখব।বিটিভির মিনা আর পাপাই তো সারাদিন দিতোনা।
ভাইয়ারা বেশি বড় হওয়ায় ওরা খেলতে যাওয়ার সময় আমাকে নিতোনা।আর স্কুলেও তখন ভর্তি হইনি।
যাক আসল কথায় আসি,আমার ভাইবোনদের পড়ানোর জন্য বাসায় একজন লজিং মাষ্টার ছিলেন।উনি সারাদিন বাসায়ই থাকতেন।উনার ঘর আমাদের মূল ঘরের সাথে হলেও রাস্তা আলাদা।ভেতর ঘরের সাথে কোনও রাস্তা নাই।
আমি ভাইয়াদের সাথে রাতে উনার কাছেই পড়তাম,পড়া মানে দুষ্টামি এইসবই চলতো।তখনতো আর স্কুলে ভর্তি হইনি তাই।
তো আস্তে আস্তে আমি উনার সাথে আরও ঘনিশ্ত হয়ে গেলাম।আমার খেলার সাথী বলতে একমাত্র উনিই ছিলেন।আর আমার আম্মাও কিছু বলতেননা আমি যে সারাদিন স্যারের ঘরের থাকি কারণ আমি না থাকলে উনি নিশ্চিন্তে সংসারের কাজ করতে পারতেন।আমি থাকলে জ্বালাতন করতামতো তাই।তাছাড়া হয়তো উনি এরকম কিছু যে হবে সেটা কল্পনাও করেননি।
তো আমি প্রতিদিনই দিনের বেলায় স্যারের রুমেই সময় কাটাতাম।উনি আমার জন্য সবসময় চকলেট,চিপস এগুলা এনে রাখতেন।
ঘটনাটা কেমনে শুরু হইছে আমি আমার মনে নাই।তখন সেক্স কি সেটাই জানতাম না।আমার উচ্চতা ছিল উনার কোমরের সমান।উনি আমাকে উনার লুঙ্গির নিচে ডুকিয়ে নিতেন আর আমি উনার পেনিস সাক করে দিতাম।বাসায়ও কাউকে কিছু বলিনি এ ব্যাপারে।একদিন উনি আমার পাছায় মনে হয় আঙ্গুল ডুকাইছিলেন কারণ আমি উনার রুমেই টয়লেট করে দিছিলাম।পরে উনি আমাকে পরিষ্কার করে দিয়েছিলেন।
এরপর আমি স্কুলে ভর্তি হলাম আর উনিও একটা জব পেয়ে আমাদের এখান থেকে ঢাকায় চলে গেলেন।নতুন একটা জায়গা,নতুন নতুন বন্ধু,খেলার সাথীর আর অভাব নাই।স্যারের কথা,উনার সাথে কি করতাম সেগুলো একদম ভুলেই গেলাম।
এরপর আমি বড় হতে থাকলাম।তখন ৮ম শ্রেনীতে পড়ি,স্কুল গরমের ছুটির বন্ধ।আব্বা বললেন এই সুযোগে আমার খৎনা দিয়া দিতে।যতারিতি তাই হল।
এখন শুরু হল আমার জীবনের সবচেয়ে বিভীষিকাময় সময়।খৎনার কারনে আমাকে কয়েকদিন ঘরে থাকতে হইছে।খৎনা দেয়ার পর আমাকে লুঙ্গি পরতে হতো।আর লুঙ্গি পরেই আমার স্যারের কথা মনে হল।
উনার সাথে কি করতাম এইসব মনে করে ওইদিনগুলো আমার খুব বাজেভাবে গেছে।এতটা মানুষিক কষ্টে আমার ঐদিনগুলো যে গেছে বলে বুঝাতে পারবনা।আমার সব ঘৃণা গিয়ে জমা হইছে স্যার আর লুঙ্গির উপর।তাছাড়া তখন আমার বয়ঃসন্ধি ছিল।
আমি না কাউকে কিছু বলতে পারতাম না নিজে কিছু করতে পারতাম।শুধু অনুভব করতাম ওই লোকটারে আমি প্রচণ্ড ঘৃণা করি।
সেই থেকে এখন পর্যন্ত আমি লুঙ্গি পরিনা।
এখন বুঝতে পারছি উনি আমার মাঝে শিশুকালে যে বীজ বপন করে গেছিলেন সেটার চারা গজাইছে আমার কৈশোরে।

২/৩ বছর আগে এক পহেলা বৈশাখে এরকম একজন এসেছিলেন আমাদের বাসায় তার স্ত্রী আর দুইটা ছেলে সন্তান নিয়ে যিনি অনেক বছর আগে আমাদের বাসায় লজিং ছিলেন।
কে জানে হয়তো এই লোকটাই সেই লোক।উনি উনার স্ত্রীকে আমাকে দেখিয়ে বলছিলেন আমি নাকি ছোটবেলায় উনার সাথে খুব দুষ্টামি করতাম।
আমি তখন লজ্জায় বলতে পারিনি যে,আমি কি আপনার সাথে এইরকম কোনও দুষ্টুমি করেছি?
এখন মনে হচ্ছে উনাকে আড়ালে ডেকে নিয়ে বললেই ভাল হতো।অন্তত আমার ঘৃণা ভরা চোখটাতো উনাকে দেখাতে পারতাম।
তবে এটা সম্পূর্ণই আমার মনের ধারণা।এইলোক সেইলোক নাও হতে পারে।
আপনাদের বাসায় যাদের ছোট ভাইবোন আছে তারা দয়া করে এসব ব্যাপারে একটু সতর্ক থাকবেন যদি বাসায় লজিং মাষ্টার কিংবা এই ধরনের কেউ থাকে।কখনই রাতে কোন শিশুকে কোনও পুরুষ মেহমানের সাথে থাকতে দেয়া ঠিক না।
ওইলোকটা কখনই আমার সাথে এরকম করতে পারতোনা যদি আমার পরিবার আমাকে একটু খেয়াল রাখত।

1 টি মন্তব্য:

  1. I am so sorry to hear about this. there are some real sick bastards lives among us. our society ignores this all the time. the only way we can help is to let our kids feel free to talk to us. that's the only way we can help our next generation. I hope u are doing OK.... u are really brave wish you all the best dear!

    উত্তরমুছুন